সোমবার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৪:০৯ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টারঃ গাইবান্ধা নদী বেষ্টিত জনপদ হলেও এ অঞ্চলের নদ নদীতে সচরাচর দেখা মেলে না জাতীয় মাছ ইলিশের। ক্রেতার চাহিদা পূরণ করতে গাইবান্ধার মাছ ব্যবসায়ীরা তাই উপকূলীয় অঞ্চলের মোকাম থেকে হিমায়িত ইলিশ সংগ্রহ করে বিক্রির জন্য জেলার বিভিন্ন উপজেলাল হাট বাজারে নিয়ে যায়। অন্য এলাকা থেকে আমদানির ফলে বছর জুড়েই গাইবান্ধায় ইলিশ মাছের দাম থাকে আকাশ ছোঁয়া। আকার ভেদে এখানে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয় ১৫০০ থেকে ১৮০০ টাকা পর্যন্ত।
জুন থেকে নভেম্বর এই পাঁচ মাস ইলিশ সংগ্রহের ভরা মৌসুম থাকায় বর্তমানে গাইবান্ধার বিভিন্ন হাটবাজারে চাহিদার তুলনায় অতিরিক্ত ইলিশ মাছ উঠেছে। তবে ইলিশের আকাশচুম্বী দাম থাকায় কেনার সামর্থ্য হারিয়েছে ইলিশ প্রেমীরা।
গতকাল গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে অন্য সময়ের তুলনায় ইলিশের আমদানি কিছুটা বেশি। ক্রেতারাও আগ্রহ নিয়ে ইলিশের দর কষাকষি করছেন। বিক্রেতার মুখে ইলিশের আকাশ ছোঁয়া দাম শুনে আক্ষেপ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন ক্রেতারা।
জানা যায়, বাজারে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ থেকে ২০০০ হাজার টাকায়। এতে নিম্ন আয়ের মানুষের হাতের নাগালের বাইরে থাকছে সুস্বাদু এই মাছটি। গাইবান্ধা শহরের পুরাতন বাজারে মাছ কিনতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের এক কর্মচারী বলেন, বাজারে সব মাছের দাম বেশি, ইংলিশ তো আর আমাদের মাছ নয় এটা হলো ধনীদের মাছ। যাদের আয় বেশি তারা এই মাছ কিনে খায়।
শফিকুল ইসলাম নামের অপর আরেক ক্রেতা বলেন, বাজারে কোন ব্যবস্থাপনা নেই। ব্যবসায়ীরা ইচ্ছে মতো সকল পণ্যের দাম নির্ধারণ করে আর ক্রেতারাও সেই দামে ক্রয় করছে। বছরজুড়ে ইলিশের দাম থাকে হাজারের উপরে। ইলিশ মাছের এমন আকাশচুম্বী দাম থাকলেও কর্তৃপক্ষ দাম নির্ধারণ করে দেয়নি। এখানে তারা ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত না করে সিন্ডিকেটকে প্রাধান্য দিয়েছে বলে আমার মনে হয়।
গাইবান্ধা সদর উপজেলার সিনিয়র মৎস কর্মকর্তা মারজান সরকার বলেন, ইলিশের দাম নির্ধারণের বিষয়টি আমাদের কাজ নয় এটি করে থাকে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এদিকে বিষয়টি নিয়ে গাইবান্ধা ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তাদের ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।